environment technology – পরিবেশের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোষ্টের মধ্যে।
ভৌত বিজ্ঞান এবং রসায়নবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সাফল্যে বিশেষভাবে পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ ও তার সম্প্রসারণে বৈপ্লবিক সূচনার সূত্রপাত হয়। ভৌগলিক গঠন এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের তথ্য সংগ্রহে যে সকল উপাদান ব্যবহারিত হয় তার সমস্ত প্রযুক্তির বিষয়ের গবেষণার ফল, এ বিষয়ে দ্বিমত নেই।
পরিবেশের নানাবিধ উপাদান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য যান্ত্রিক ব্যবহার প্রাথমিকভাবে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল তা আজও অব্যাহত রয়েছে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বিশেষ বিশেষ প্রকার সংবেদনী যন্ত্র ব্যবহার করে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ বিশ্লেষণ করে তার প্রয়োজন সাপেক্ষে সাধারণ মানুষের কিংবা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজে ব্যবহার হয়ে এসেছে, এই যন্ত্র আবিষ্কারের পর থেকে।
পরিবেশের তথ্য সংগ্রহের জন্য যেসব যন্ত্র সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে কয়েকটি একাধিক পরিবেশ সংক্রান্ত সূচনা প্রদান করে থাকে। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বায়ুর চাপ মান যন্ত্র বা ব্যারোমিটার প্রত্যক্ষভাবে বায়ুর চাপ মান নির্দেশ করলেও বায়ুর চাপ মারের হাঁস বৃদ্ধির প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে প্রকৃতির অবস্থা সম্পর্কে নির্ভুল ভবিষ্যৎবাণী করা যায়।
ব্যারোমিটারের পারদ স্তম্ভের উচ্চতা দ্রুত হাঁস পেলে নিম্নচাপ ও ঝড়ের সূচনা বহন করে। তেমনি হাইগ্রোমিটার বা বায়ুমন্ডলের জলে বাষ্প মাপন যন্ত্রে বায়ুমন্ডলের কতটা জলীয়বাষ্প আছে তা আপেক্ষিক মান যেমন সূচিত করে তেমনি ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশের অধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান হলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাকে প্রবলতরম করে তোলে।
পরিবেশের তথ্য সংগ্রহের কাজে যেসব যন্ত্র বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে বায়ুপ্রবাহের দিক নির্ণয় যন্ত্র, তাপ মাপন যন্ত্র, কম্পাস অর্থাৎ দিক নির্ণায়ক যন্ত্র, আলোর তীব্রতা পরিমাপন যন্ত্র হলো ফটো মিটার, ভূমিকম্পন পরিমাপের যন্ত্র অর্থাৎ সিসমোমিটার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
পরিবেশের জল, মাটি ও বায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন প্রকার ভৌত পরিবর্তন এর চরিত্রের হাদিস পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। ভৌত রাসায়নিক পদার্থের বিশ্লেষণ ব্যতিরে কেউ শুধুমাত্র ওই মৃত্তিকায় উপস্থিত স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পাতার রং ইত্যাদি মৃতস্থিত নানা প্রকার ভৌত রাসায়নিক চরিত্র নির্দেশ করে থাকে।
শুধু কাটা জাতীয় গাছ, যেমন বিভিন্ন প্রকার ক্যাকটাসের আধিক্য শুষ্ক মৃত্তিকায় ও শুষ্ক জলবায়ুর নির্দেশ করে, তেমনি ঘন চিরহরিৎ বৃক্ষের বন অধি খাদ্য ও অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত মৌসুমী জলবায়ুর স্থান নির্দেশ করে। বিভিন্ন প্রকার ধাতুর অভাবে বা আধিক্য নানা প্রকার লক্ষণ উদ্ভিদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাটিতে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে উদ্ভিদের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে, বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। প্রাণীদের ক্ষেত্রেও নানা প্রকার লক্ষণ প্রকাশ পায়, যেমন আয়োডিনের অভাবে মানুষের গলগন্ড রোগ নির্দিষ্ট করেই বলা যায়।
বায়ুমন্ডলের অনেক ভৌত রাসায়নিক অবস্থাও যন্ত্রপাতি রেখে উল্লেখ করা যায়। যেমন ধোয়া সাঁতার প্রধান উপকরণ। খুব ঘন জনবসতিপূর্ণ জায়গায় এবং যেখানে অত্যধিক পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে সেখানে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের নানা প্রকার রোগ বায়ু দূষণ জড়িত কারণে যে ঘটে থাকে তার কোন যান্ত্রিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করার অপেক্ষায় রাখে না।
যেভাবেই হোক যান্ত্রিক, ভৌত রাসায়নিক বিশ্লেষণ, জীবনির্দেশন বা জীবের শরীরবৃত্তীয় বা অঙ্গ সংস্থান্গত অস্বাভাবিকতার মাধ্যমে স্থানীয় পরিবেশের সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তা জনকল্যাণীর জন্য হয়ে থাকলে বিভিন্ন মাধ্যমে সম্প্রসারণ করে জনগণকে অভিহিত করা হয়।
এই সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, বৈদ্যুতিন মাধ্যমে যেমন বেতার ও টেলিভিশন ইত্যাদি সংবাদ হিসেবে বা বিশেষ সূচক হিসাবে সম্প্রসারণ করা হয়। পরিবেশ সম্বন্ধীয় তথ্য যে ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, গুরুত্ব নির্ণয় ও তার সম্প্রসারণ করা হয় তার সমগ্র অংশটিকে পরিবেশীয় তথ্য প্রেরণের গঠনতন্ত্র বলা হয়।
✍️ পরিবেশীয় তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা
পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে অমল পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অত্যাধুনিক ব্যবস্থার ব্যবহার যেমন উন্নততর গণক যন্ত্র চালিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রাহক যন্ত্রের প্রয়োগ, কৃত্রিম উপগ্রহ দ্বারা তথ্যের সংগ্রহ, উচ্চগতি সম্পন্ন গণক যন্ত্রের মাধ্যমে সমস্ত প্রাপ্ত তথ্যের সামগ্রিক বিশ্লেষণ, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জনকল্যাণের তাৎক্ষণিক সম্প্রসারণ – যেখানে বেতার, দূরদর্শন কিংবা অত্যাধুনিকতম বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
পরিবেশের অবস্থা বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় ভারতের সাফল্য অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে সমানভাবে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। পরিবেশের তথ্য সংগ্রহে এর ব্যাপকতা সীমাহীন। বর্তমানে এই ব্যবস্থা সেই সব জায়গায় ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণভাবে অধিক ব্যয় সাপেক্ষ এবং দীর্ঘসময়ের প্রয়োজন হয়।, কিন্তু স্বল্প সময়ের তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভারতে কৃত্রিম উপগ্রহ ভাস্কর সকল উৎক্ষেপণ ও ক্রিয়া-কলাপের পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে অনেকগুলি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশের প্রতিস্থাপন করা হয়।
এদের মধ্যে জাতীয় প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার ( NNRMS ) এবং জাতীয় দুরনিয়ন্ত্রিত সন্ধানের পরিচালনবর্গ ( NARSA ) উদ্যোগে ইনসার্ট শ্রেণীর 1A,1B, 2A, 2B, 2C উল্লেখযোগ্য। এবং দূরে নিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধানে ও বিশ্লেষণে নিয়োজিত ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং বা IRS শ্রেণীর বিভিন্ন উপগ্রহ যেমন IRS-1A, IRS-1B, IRS-IC, IRS-ID, IRS-2A, IRS-2B ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এদের ক্রিয়া কাল ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সীমিত হলেও প্রয়োগিক দিক দিয়ে বিচার করলে দেখা যাবে ক্রমাগত উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই আধুনিকতম ব্যবস্থাপনার মান পৃথিবীর প্রথম সারিতে থাকতে পেরেছে। এই ব্যবস্থাই যুক্ত করা হয়েছে উন্নততর ধরনের তথ্য সংগ্রহ যন্ত্র যেমন প্যানক্রোমাটিক ক্যামেরা PAN বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রের তথ্য সংগ্রাহক (WFS ), সরল প্রতিচ্ছবির স্বয়ংক্রিয় সংগ্রাহক(LISS) ইত্যাদি সবই তথ্য সংগ্রহ যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত।
এছাড়া বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য সংগ্রাহক যন্ত্রের প্রকৃতি ও আলাদা প্রকার হয়ে থাকে যেমন- মানচিত্র ও জরিপের কাজে PAN, কৃষির বনভূমির জন্য উফস, এবং বর্ণালী বৃক্ষণ যন্ত্র, কৃষি আবহাওয়া তথ্য সংগ্রহের জন্য অতি সূক্ষ্ম তরঙ্গ পরিমাপন যন্ত্র বা মাইক্রোওয়েভ সাউন্ডার্স, মৃত্তিকা ও শস্য কিংবা ভূখণ্ড পরিমাপনের ক্ষেত্রে বহু তথ্য সংগ্রাহক যন্ত্রের ব্যবহার, সামুদ্রিক তথ্য পরিমাপনী বিচ্ছরিত তরঙ্গ পরিমাপন যন্ত্র, এবং বায়ুমন্ডলের উপাদানের বিশ্লেষণের জন্য অতি সংবেদী বর্ণালী বৃক্ষণ যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়।
তথ্য সংগ্রাহক যন্ত্রের মাধ্যমে যেসব তথ্য সংগ্রহীত হয় তা সরাসরি ভূমিতে অবস্থিত তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে এন্টেনা বা ডিসেন্টানের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়, পরে এইসব তথ্যকে বৈদ্যুতির মাধ্যমে সাংখিক মানি বা ডিজিটাল ভ্যালু পরিবর্তিত করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গণক যন্ত্রে বিশেষ সফটওয়ারের মধ্যে ধরে রাখা হয়।
তথ্য বিশ্লেষণের কাজে একাধিক এই প্রকার সফটওয়্যারও ব্যবহার করা হয়। তথ্যের প্রকৃতি এবং মান ও আকারের উপর নির্ভর করে সফটওয়্যারও আলাদা আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। কৃত্রিম উপগ্রহ অনুসারে সফটওয়্যার এর প্রকৃতিও আলাদা হয়ে থাকে।
ভূমি তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের তথ্যের সংগ্রহের পর তার বিশ্লেষণ করা হয়, এবং তথ্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর চাহিদা মত বিশ্লেষণে গণক যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে প্রেরিত তথ্যের বিশ্লেষণ ফল পাওয়া যায়। যার গুনাগুন ও গুরুত্ব বিচার করে তথ্যের সঞ্চয় এবং সম্প্রসারণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উপগ্রহ প্রেরিত তথ্যের মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন প্রকার তথ্য এবং ভৌগোলিক গঠনের নানা প্রকার তথ্যের সামগ্রিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতে পরিবেশ সংক্রান্ত অবস্থার আগাম খবর পাওয়া যায়। উপগ্রহ প্রেরিত তথ্যের উপযোগিতা সীমাহীন। সমস্যা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপগ্রহের তথ্য সংগ্রাহক যন্ত্রের বিশেষ ব্যবহার পরিবেশের সহস্রাধিক তথ্যের বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়।
যেমন জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য, মেঘ, বৃষ্টিপাত, ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ, বায়ু প্রবাহ, বায়ুর গতিপ্রকৃতি, ভূমির গঠনরূপ, ভূমির প্রকৃতি, বনভূমির আয়তন, বনভূমির হ্রাসবৃদ্ধি, বনভূমির প্রকার, উপকূলবর্তী অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি পরিবেশ সংক্রান্ত বিশেষ উল্লেখযোগ্য তথ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা যায়। গুরুত্বের উপর নির্ভর করে কৃত্রিম উপগ্রহের প্রয়োগ ক্ষেত্রকে প্রত্যক্ষ প্রয়োগ ক্ষেত্র ও সরকারি প্রয়োগ ক্ষেত্রের লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়।
তথ্যের বিশ্লেষণের পর তার সিদ্ধান্ত সরাসরি তথ্য ও সম্প্রসারণ মন্ত্র ও পরিবেশ মন্ত্র কে পাঠানো হয়। এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য সঞ্চিত করে রাখা হয়। জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সিদ্ধান্তগ্রহণের পরই তথ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠানো হয়। যার মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো সংবাদপত্র বেতার, দূরদর্শন, ইন্টারনেট ইত্যাদি যা সরাসরি জন সাধনের সঙ্গে যুক্ত। পরিবেশে বিপর্যয় সংক্রান্ত কোনো তথ্যের আগাম খবর থাকলে বিশেষত ঘূর্ণিঝড়, প্রবল সমুদ্রচ্ছাস, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ইত্যাদি দ্য বিশেষ গুরুত্ব সহকারে জনসাধারণকে সচেতন করে দেয়া হয়।
এই উন্নত তরফ প্রযুক্তি পরিবেশের তথ্য ও সম্প্রসারণের সঙ্গে যুক্ত থাকায় পরিবেশ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য যেমন পাওয়া যায় অতি সহজেই, তেমনি পরিবেশ সংক্রান্ত নানাবিধ গবেষণামূলক কাজেও এই তথ্যের ব্যবহার আজ সর্বাধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। তথ্যের আগামবার তাই জনসাধারণকে প্রকৃতিতে বিপর্যয়ের আগে থেকে সতর্ক করায় ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির ঘটনা অনেকাংশে কমে যায়।
পরিবেশ ও প্রকৃতির সম্বন্ধে তথ্য ও সম্প্রসারণের গুরুত্ব আদিকাল থেকেই মানুষ অনুভব করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবেশের প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়েছে, তাই মানুষের কাছে পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে বা আদিকালে পরিবেশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একে মানুষ সংগ্রহ করেছে তার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার মাধ্যমে এবং নিজস্ব বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণের মাধ্যমে, এক একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
বহু ক্ষেত্রে তার সকল প্রয়োগ হলেও তার ব্যর্থতা নিয়ে সংশয় থাকতো কিন্তু নানাবিধ বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্ভূত প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও তার সিদ্ধান্তের ফলে পরিবেশ সম্পর্কীয় নানাবিধ পূর্বভাস হয়েছে। প্রচার মাধ্যমের বিপ্লবের ফলে এইসব তথ্যের সম্প্রসারণের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ভৌত রাসায়নিক চরিত্র বিশ্লেষণ করি পরিবেশের নানাবিধ সমস্যার মূল কারণ অনুসন্ধান করা আজকে কোন কঠিন সমস্যা নয়।
পরিবেশের তন্ত্র সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বর্তমান দিনের কৃত্রিম উপগ্রহের সংযোগ, তার সঙ্গে আধুনিক বৈদ্যুতিন সম্প্রচার মাধ্যমের সহযোগ। এই আধুনিকতম ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিবেশের তথ্যের বিশ্লেষণ করে সমগ্র বিশ্বের জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক গণক যন্ত্রের ব্যবহারে সমগ্র ব্যবস্থা ও গঠনতন্ত্রকে প্রায় স্বয়ংক্রিয় পর্যায়ে উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে তথ্য সম্প্রসারণের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে পরিবেশ সংক্রান্ত বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।