weather report of rain & flood – পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের ( india weather forecast ) অন্যান্য রাজ্যের বৃষ্টি ও বন্যার খবর । কোথায় কি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। কোথায় কোথায় বন্যা দেখা দিয়েছে জানুন বিস্তারিত।

weather report of rain & flood

গ্রীষ্মের সময় ছিল যেমন গরমের দাবদাহ। তেমনি বর্ষার শুরুতেও এমন অনেক এলাকায় রয়েছে যেখানেতে বৃষ্টি খুবই সামান্য পরিমাণে হয়েছে, কিন্তু এমনও অনেক এলাকা রয়েছে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এলাকাগুলিতে সীমাহীনভাবে বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে গত সপ্তাহের আগে থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে অত্যাধিক পরিমাণে বৃষ্টির কারণে বন্যার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া পূর্বে কয়েকদিন একটানা বৃষ্টির ফলে দিল্লি , উত্তরাখন্ড , আসাম সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। রাজ্যগুলিতে একটানা বৃষ্টির ফলে কোন কোন জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে বা নদীর জল উঠেছে পড়ে বন্যা হয়ে গিয়েছে। আবার রাজ্যগুলির কিছু কিছু জেলায় অত্যাধিক পরিমাণে বৃষ্টির কারণে বন্যার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে।

যেখানেতে রাস্তাঘাট গুলোই জনমগ্ন হয়ে গিয়েছে। ড্রেন ঠিকভাবে পরিষ্কার না থাকার কারণে জলবদ্ধ হয়ে চারিদিকে বন্যার পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছে। তুমি প্রশাসনিক তরফ থেকে তৎপরতার মাধ্যমে জল নিকাশের ব্যবস্থা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করা হয়।

যদি আমরা পশ্চিমবঙ্গের কথা বলি, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলাগুলিতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশের কারণে কয়েক দিন ধরেই যখন তখন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলে আসছিল। এখনো পর্যন্ত ওই পরিস্থিতি বহাল রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে মালদা ও উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। কারণ গঙ্গায় জল পড়ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে, ফুলে ফেঁপে উঠছে মালদাহ ও উত্তর দিনাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলি।

এমন পরিস্থিতিই নদীর বাঁধ ভাঙার মাধ্যমে বন্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে মালদা জেলা। ফুলাহার নদীর বাঁধ ভাঙ্গার কারণে এই বন্যা পরিস্থিতি। মালদহে এই বন্যার মাধ্যমে বাঁধ ভাঙ্গার নিকটবর্তী ৮ থেকে ১০ টি গ্রাম বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রায় দশ হাজার মানুষ এই বন্যার দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

মালদাহর ওই অঞ্চলে বারবার নদীর বাঁধ ভাঙ্গার কারণে। নদী থেকে গ্রামের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ১০০ মিটারের মত। এর উপরিস্থিতি ওই অঞ্চলের মানুষ খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি নাই কোন হসপিটাল, জনসাধারণ বলছে, যদি রাত্রের মধ্যে কারো সমস্যা হয় তাহলে সে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে।

তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কলিকাতার আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে বিখ্যাতভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে ভারতের নতুন রাজধানী নতুন দিল্লির (india weather forecast delhi) ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর জলস্রোত আরো বেশি ফুলে ফেঁপে বয়ে চলছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। সরে যাচ্ছি এর আগে ৪৫ বছর পর্যন্ত এইরকম জলস্রোত যমুনা নদীতে এর পূর্বে দেখা যায়নি। এর ফলে দিল্লিতে ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে যাচ্ছে।

তাছাড়া তাজমহলের পাশে জলের উচ্চতা যমুনা দিতে থাকে সাধারণত ৪৯৪ ফুট কিন্তু গত কয়েকদিন এই জলস্তর বেড়ে ৪৯৯ ফুট হয়ে গিয়েছে। তাই স্থানীয় এলাকার মানুষও ভয় করছে এই জল স্তর বাড়ার কারণে। এমন অনুমান করা হচ্ছে আর আর কয়েক মিটার যদি জলের উচ্চতা বাড়ে তাহলে তাজমহলের ভেতরে জল ঢুকে যেতে পারে।

আবার ছত্রিশ ঘরের রাজধানী রায়পুরে বৃষ্টির কারণে ধসের সৃষ্টি হয়, সেই ধসে অসংখ্য মানুষের প্রাণ যায়। হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির জলে জলমগ্ন। আবার একদিকে জন্ম অপরদিকে হিমাচল, তুই পাশেই জলের অথই-তথই অবস্থা। এমনকি মরুভূমির দেশ রাজস্থান, বর্ষার শুরু থেকেই সেখানেতেও একটানা অতিবৃষ্টির কারণে বার বার বন্যার সৃষ্টি হয়।

এই যে এত বিপর্যয়ের কারণ হচ্ছে অল্প সময়ে অত্যাধিক বৃষ্টি। কত অত্যাধিক চলুন জেনে নেওয়া যাক। ১১ ই জুলাই ২০২৩ গুজরাটের বোদেলি জেলায় একদিনে ৬০০ মিলি বৃষ্টিপাত এবং ২২ জুলাই ৩০৫ মিলি, ১৯ শে জুলাই গুজরাটের সোমনাথ এলাকায় একদিনে ৫৪৫ মিলি এবং জম্মুতে ৩২০ মিলি, ৯ জুলাই চন্ডিগড়ে ৩২৫ মিলি এবং দিল্লিতে ১৫৫ মিলি।

তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলায় অ্যাভারেজ ভাবে ৩৬০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে এই জুলাই মাসে বীরভূম জেলার বোলপুর এলাকায় ৩১৮ মিলি, ও কলকাতায় ৩৬০ মিলিমিটারের মত( kolkata rainfall forecast ), এবং দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা এলাকায় ৬১০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয় এই মাসেই। যা কল্পনার বাইরে।

তাহলে এত বৃষ্টির জল যাবে কোথায়। বন্যা অথবা বন্যার মত পরিস্থিতি তো সৃষ্টি করবেই। এই অল্প সময়ে অতিবৃষ্টি কে অনেকেই ব্যবহার পরিবর্তনের কারণ জানিয়েছে। যাই হোক যে পরিস্থিতি আসুক না কেন আমাদের সকলকেই আগে থেকে সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনে দুর্ঘটনার পূর্ব ব্যবস্থাপনা নিতে হবে। সরকার যে নির্দেশিকা জারি করবে সেই নির্দেশিকাকেউ আমাদেরকে মেনে চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *