2000 Notebandi date – পুনরায় RBI অর্থাৎ reserve Bank of India ২০০০ টাকার নোট বন্ধ করল। কি করবেন , কবে ব্যাংকে জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট জানুন বিস্তারিত।
টাকা এমনই একটি জিনিস যেটি ছাড়া বর্তমান সমাজ প্রায় চলতেই পারে না। খাবারদাবার থেকে শুরু করে, পড়াশোনা, যাতায়াত, পোশাক পরিচ্ছদ, অন্যান্য যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন সরঞ্জাম কেনার জন্য টাকার প্রয়োজন মানুষের হয়েই থাকে।
বর্তমান সরকার কালা টাকা এবং জাল টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্য। নোট বন্দি শুরু করেছিলেন ২০১৬ সালে (first notebandi in india) অর্থাৎ পুরনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটকে বাতিল করেছিলেন। এবং ঘোষণা করেছিলেন যে এই নির্দিষ্ট গেটের মধ্যে সমস্ত পুরনো ৫০০ টাকার নোট এবং ১০০০ টাকার নোট কে ব্যাংকে জমা দিয়ে নতুন ৫০০ টাকার অথবা ২০০০ টাকার নোট নিতে।
সেই নোট বন্দির পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছিল 2000 টাকার নোট ছাপানোর কাজ। এর পিছনে আরেকটি কারণ ছিল যে মানুষকে কোন কিছু যদি মোটা অংকের টাকা দিয়ে কিনতে হয় সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে নোট সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হতো। এক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোট হলে খুবই অল্প পরিমাণ নোট নিয়ে গেলেই সেই একই কাজ করা সম্ভব হয়। কারণ ২টি ১০০০ টাকার নোটের সমান ১ টি ২০০০ টাকার নোট। বা বলতে পারেন ৪টি ৫০০ টাকার নোটের সমান ১টি ২০০০ টাকার নোট।
কিন্তু একটা বিষয় হলো যে বড় অংকের নোটের ভাঙ্গানি দেয়া খুবই সমস্যাকর। কারণ আপনি দেখলেন কোন একটি জিনিসের মূল্য ১০০ টাকা অথবা ২০০ টাকা, আপনি সেই জিনিসটি কিনতে চাইলেন, কিন্তু আপনার কাছে আছে ২০০০ টাকার নোট, আপনি যখন দোকানদারকে বললেন যে আমি এই ১০০ টাকার অথবা ১৫০ টাকার জিনিসটি কিনতে চাই কিন্তু আমার কাছে ২০০০ টাকার নোট আছে। তখন হয়তো দোকানদার আপনাকে জিনিসটির কেনার পরিবর্তে ২০০০ টাকার খুচরো নাও দিতে পারে। কারণ ২০০০ টাকার নোটের কুচরো দেওয়া খুবই দুঃসাধ্যকর ব্যাপার। অনেকে থাকলেও হয়তো দিতে যায় না। কেননা পরবর্তীকালে তার কেনাবেচার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে এমনটা ভেবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনুভব করেছিল যে ২০০০ টাকার নোট বাজারে চালানো খুবই কষ্টকর ব্যাপার, তাই এই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল। মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই।
তাছাড়া আপনিও হয়তো অনুভব করেছেন, যে বাজারে আর ২০০০ টাকার নোট খুব একটা দেখাই যায় না। যাদের কাছেই হয়তো ২০০০ টাকার নোট রয়েছে তারা ওই টাকাটি কেই বেশি পরিমাণে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। যাতে তার কাছ থেকে ২০০০ টাকার নোটটি চলে যায়। কেননা সেই নোট বন্দি থেকে এখনো পর্যন্ত মানুষের মধ্যে একটি ভীতি রয়েছে। যে হয়তো ২০০০ টাকার নোট কোনো না কোনদিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বা ২০০০ টাকার নোটে একটু পরিমাণ কোন লেখা থাকলে বা হালকা রং লেগে গেলে তা কেউ নিতে চাচ্ছে না, তাই।
তাছাড়া আমি নিজেও উপলব্ধি করেছি, আমার কাছে যখন ৫০ টি ২০০০ টাকার নোট একসঙ্গে বাধা হয়ে প্রায় চার মাসের মত ছিল। যখন বান্ডিল দিকে খুলে চেক করা হচ্ছিল তখন কয়েকটা নটি হালকা ধরনের স্পট পড়ে গিয়েছিল। আবার হালকা লাল রঙের ও ছাপ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন নোটগুলিকে বান্ডেল করে রাখা হয় তখন কিন্তু নোটের মধ্যেও কোন কিছুই স্পট বা লাল রঙের ছাপ ছিল না।
তাছাড়া আপনি লক্ষ্য করেছেন বর্তমানে কিন্তু যে কোন কেনাকাটার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই অনলাইন পেমেন্টকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। মানুষ আর পকেটে খুব একটা টাকা রাখতে পছন্দ করছে না। দোকান থেকে কেনাকাটা হোক বা যেকোন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে অনলাইনে কেনাকাটায় হোক না কেন মানুষ কিন্তু যেকোনো কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করাটাকেই বেশি পছন্দ করছে। অনলাইন পেমেন্ট করার আরো একটি কারণ রয়েছে এটি পয়সার কোন ঝামেলা নাই, সঙ্গে অনেক এমন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলি সাহায্যে কিওয়ার স্ক্যান করে পেমেন্ট করলে ক্যাশব্যাক ও পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এর জন্য এই ক্ষেত্রটিকেই বেছে নেই।
এই সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এবং বিভিন্ন সমস্যাকে লক্ষ্য করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট ছাপানো পুরোপুরিভাবে বন্ধ করার ঘোষণা করল ১৯ মে ২০২৩ (2000 Notebandi date ) । তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে, এই দু হাজার টাকার নোট এখনই কিন্তু অচল হচ্ছে না, এটির ছাপানো বন্ধ হতে পারে কিন্তু এটি বাজারেতে চালানোর জন্য অব্যাহত থাকবে অর্থাৎ ২০০০ টাকার নোট দিয়ে মানুষ কেনাবেচা করতে পারবে।
RBI অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে বলা হয়েছে এই নোট ৩০ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ( 2000 Notebandi date )। তবে মানুষ চাইলে ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে অন্য কোন নোট নিতে পারবে। RBI অর্থাৎ reserve Bank of India এও আশ্বাস দেয় যে এই নিয়ে মানুষকে ঘাবড়ানোর বা বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন দরকার নাই।