duare sarkar scheme list – দুয়ারে সরকার প্রকল্প কি, এই প্রকল্পের সুবিধা কি রয়েছে, কোন কোন প্রকল্পগুলির দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে কাজ হয়। জানুন বিস্তারিত।

duare sarkar scheme list

আগে মানুষকে যেকোনো ধরনের সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য, বিভিন্ন সরকারি অফিসে বা আদালতে বা অন্যান্য জায়গায় যেতে হত। এর ফলে মানুষের একদিকে যেমন সময় অপচয় হত সঙ্গে পরিশ্রম অনেক হত। তাই অনেক মানুষ পরিশ্রমের ভয়ে সরকারি অনেক পরিষেবা পাওয়ার জন্য এত ছুটোছুটি করত না, এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে তারা বঞ্চিত থাকতো।

দুয়ারে সরকার প্রকল্পের নাম শুনে আপনি বুঝতে পারছেন যে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পরিষেবা গুলি জনগণের দুয়ারে বা নিকটে পৌঁছিয়ে দেওয়া। যাতে করে মানুষকে যে যার প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা সরকারি অফিস, আদালত বা অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে যেতে না হয় এবং মানুষকে যাতে হয়রান না হতে হয়।

এরকম পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পটি চালু করেন। এর দ্বারা কোটি কোটি মানুষ উপকৃত পাচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গের কোন বাসিন্দা তাদের নিজস্ব হক থেকে বাতিল যাতে না হয় । অর্থাৎ সমস্ত পরিষেবা তারা যাতে সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গুলি অঞ্চল বা ওয়ার্ড ভিত্তিক হয়ে থাকে। কবে ক্যাম্প টি বসবে তা আগেই মাইক দ্বারা জানিয়ে দেওয়া হয়।

👉 প্রকল্পের সুবিধা

  • এর জন্য মানুষকে সরকারি অফিসে গিয়ে ভিড় জমাতে হবে না।
  • এই প্রকল্প অঞ্চলভিত্তিক হয়ে থাকে, তাই অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ এখানে এসে ভিড় জমায় না, যার ফলে মানুষ সহজেই বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
  • এই প্রকল্পের ফলে মানুষের সময় এবং শ্রম অনেকটা সাশ্রয় হয়।
  • এই দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে মানুষেরা যে যার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় কুড়িটিরও উপরে সুবিধা ভোগ করতে পারে।
  • কখন কোন দিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পটি হবে, এর পূর্বেই মাইক দ্বারা অঞ্চলভিত্তিক এনাউন্সমেন্ট করে দেয়া হয়। এর ফলে মানুষ সহজেই বুঝতে পারি, যে এই দিন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে। এর ফলে ক্যাম্প নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় না।

👉 দুয়ারী সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে পাওয়া কাজগুলি

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে নানান ধরনের প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়, প্রায় কুড়িটিরও বেশি। নিম্নে একেকটি সম্পর্কে উল্লেখ করা হল।

কৃষকবন্ধু প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী কৃষকেরা বছরে দুইবার অর্থাৎ রবি শস্য এবং খারিফ শস্যের জন্য ১০০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। যে সমস্ত কৃষকদের এক একর বা তার ওপরে জমি রয়েছে তারা দুই দফায় পাঁচ হাজার টাকা করে বছরে টোটাল ১০০০০ টাকা পায়। এবং যাদের এক একরের কম জমি রয়েছে তারাও দুই দফাই ২০০০ টাকা করে বছরে টোটাল ৪০০০ টাকা পেয়ে থাকে। এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য ক্যাম্পে গিয়ে ভোটার কার্ড, ব্যাংকের পাসবুক, এক কপি ফটো, জমির রেকর্ড ইত্যাদি নিয়ে একটি ধর্মের সঙ্গে আবেদন করতে হয়।

খাদ্য সাথী প্রকল্প – খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা কোন টাকা না দিয়ে অর্থাৎ ফ্রিতে রেশন পেয়ে থাকেন। এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে যদি পরিবারের কোনো ব্যক্তির রেশন কার্ড না থাকে, বা বাচ্চাদের নতুন রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য, বা বিবাহিত মহিলাদের রেশন কার্ড ট্রান্সফারের জন্য, বা রেশন কার্ডের কোন কারেকশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্দিষ্ট ক্যাম্পে গিয়ে। নতুন রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য পরিবারের প্রধানের রেশন কার্ডের ডিটেলস দিয়ে আবেদন করা যায়।

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প – লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা যাদের বয়স ২৫ বছর বা তার উর্ধ্বে তারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকে। বিশেষত যারা সিডিউল কাস্ট ও সিডিউল ট্রাইব (SC/ST) তারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পায়। এবং যারা ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ও জেনারেল (OBC/GENERAL) তারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পান। এই প্রকল্পের আবেদনের জন্য মহিলা কি ক্যাম্পে গিয়ে, সেখান থেকে লক্ষীর ভান্ডারের ফরম নিয়ে, তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফটো, আধার কার্ড, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে আবেদন করতে হয়।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী প্রত্যেকটি পরিবার তাদের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে একটি কার্ডের মধ্যে পাবেন। কার্ডটির নাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কার দিকে দেখতে অনেকটা এটিএম কার্ড এর মত। কার্ডটিতে প্রধান বেনিফিশিয়ারির নাম সহ ছবি থাকবে। এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে আধার ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এড করা যাবে। ওই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মধ্যে যে সমস্ত ব্যক্তিরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ভেরিফাই করা থাকবে, তারা তাদের যেকোনো অসুবিধার জন্য ওই কার্ডটিকে ব্যবহার করে তাদের চিকিৎসার জন্য টাকা খরচ করতে পারবে। বর্তমানে প্রায় পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই কার্ডের মাধ্যমে বহু চিকিৎসা করা হচ্ছে।

বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প – যে সমস্ত মহিলাদের স্বামী মারা গিয়েছেন তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিধবা ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে বাধা ধরা কোন বয়স নাই যে এই বয়স হলে এপ্লাই করতে পারবে, না হলে পারবেন না। যাদের স্বামী মারা গিয়েছে, সে সমস্ত সকল মহিলারাই বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করে এই প্রকল্পের উপভোগ করতে পারবে।

অপরপক্ষে যাদের বয়স ৬০ বছরের উর্ধ্বে হয়েছে তারা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে পেয়ে থাকে। তবে এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে হতে হবে। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই কিন্তু আবেদন করতে পারবে। যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে হয়েছে।

মানবিক প্রকল্প – যে সমস্ত ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধী তারা এই প্রকল্পের জন্য ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গিয়ে আবেদন না করেও, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে পারবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পেতে থাকবে।

কন্যাশ্রী প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত মেয়েরা পড়াশোনা করছে তারা ১৩ বছর বয়স থেকে প্রতিবছর ১০০০ করে টাকা পেয়ে থাকে। এবং যখন মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয়ে যায় এবং যদি তার বিয়ে না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। তাহলে এককালীন সেই মেয়ে শিক্ষার্থী ২৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। তবে যদি বিবাহ হয়ে যায় ১৮ বছর আগে তাহলে কিন্তু সেই মেয়ে বা মহিলা এই প্রকল্পের লাভ উপভোগ করতে পারবে না। এই প্রকল্পের আবেদন ক্যাম্পের মাধ্যমেও করা যায় অথবা স্কুলে হেডমাস্টারের মাধ্যমেও করা যায়।

তবে তবে সবচেয়ে সুবিধা হবে স্কুল হেডমাস্টারের মাধ্যমে আবেদন করা। কেননা তারা সমস্ত ডাটা গচ্ছিত করে রাখে। পরবর্তীকালে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে যখন ১৮ বছর হয়ে যাবে, তখন যদি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা না ঢোকে তাহলে আপনি স্কুল বা কলেজ অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন।

রূপশ্রী প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে এবং যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ্য বা তার কম। সেই সমস্ত পরিবারকে মেয়েটির বিয়ে দেয়ার জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। এর আবেদনের জন্য আপনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও যেতে পারেন, অথবা আপনার পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে যেতে পারেন।

কাস্ট সার্টিফিকেট আবেদন – যে সমস্ত ব্যক্তিরা জেনারেল নয় অর্থাৎ SC বা ST বা OBC তারা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে SC বা ST বা OBC সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। এর পূর্বে এই সমস্ত সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। কারণ এর জন্য এমেলে বা অন্যান্য গেজেটিং অফিসারের সিগনেচার, পঞ্চায়েত প্রধানের সিগনেচার, ব্লক সভাপতি বা B.D.O. এর সিগনেচার করে, করতে গিয়ে এফিডেভিট করে B.D.O. অর্থাৎ ব্লক ডেভেলাপমেন্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হত।

কিন্তু এখন খুব সহজেই আপনারা এটি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, তারপর আবেদন করা ফর্ম ঠিকই প্রিন্ট আউট করে, তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে ক্যাম্পে গিয়ে সাবমিট করতে হবে।

ঐক্যশ্রী প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ) ছাত্রদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এর জন্য আপনি চাইলে অনলাইনে কোন কম্পিউটার দোকানেও এপ্লাই করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ডকুমেন্টস নিয়ে ক্যাম্পে গিয়েও আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর সেটিকে আপনাকে আপনার স্কুল বা কলেজে গিয়ে জমা দিতে হবে ভেরিফাই করানোর জন্য। কেননা স্কুল বা কলেজ ভেরিফাই হওয়ার পর, জেলা ভেরিফাই হবে, তারপর স্টেট ভেরিফাই হবে, তারপর ব্যাংক ভ্যালিডেশনের কাজ সম্পূর্ণ হলে লট জেনারেশন হবে, তারপরেই কিন্তু আপনি আপনার একাউন্টে টাকা পাবেন। এটা কিন্তু বিভিন্ন কোর্সের জন্য টাকার অ্যামাউন্টটা বিভিন্ন হয়ে থাকে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড – অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে বিশেষ কোর্সের জন্য পর্যাপ্ত টাকা থাকে না। ফলে তারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী কোর্স করতে পারে না। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নামে এক ধরনের কার্ড তৈরি করার সুযোগ শিক্ষার্থীদের কে দিচ্ছে। যেই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাইলে যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে তার কোর্স অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা দুই থেকে চার শতাংশ হার সুদে লোন নিতে পারে। তবে এই লোন তারা সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাবে।

জয় জোহার – এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষত তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত ব্যক্তিরা যারা ৬০ বছর বয়স কমপ্লিট করেছে। সেই সমস্ত প্রবীণ নাগরিকদের মাসিক ১০০০ টাকা করে পেনশন প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গিয়েও আবেদন করা যায়। তবে বর্তমানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়েও চাইলে আপনি আবেদন করতে পারেন।

বাংলা আবাস যোজনা – এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ব্যক্তিদের, বিশেষত যাদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে তাদেরকে পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মতো দেওয়া হয়ে থাকে। এই টাকাগুলি তিন কিস্তিতে সুবিধাভোগীর ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনা – বিশেষত যারা প্রত্যন্ত শ্রমিক, প্রতিদিন খেটে খেয়ে জীবন চলে, সেই সমস্ত শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্ধ প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশেষত দুটি সন্তানের পড়াশোনার জন্য ৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন কোর্স অনুপাতে। এমনকি ওই ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয়ে যান তাহলে চিকিৎসার জন্য সর্বাধিক ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।

তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে – পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী SC কাস্টের মানুষ বিশেষত যারা ৬০ বছরে পা রেখেছে বা ৬০ বছর অতিক্রম করেছে। তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে। এই প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তিরা প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে পেয়ে থাকবে।

মাটির কথা – এই প্রকল্পটি বিশেষত যেকোনো চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য। চাচি তাদের কি সমস্যা হচ্ছে, কি ক্ষতি হচ্ছে, কি পরিকল্পনা নিয়ে যেতে পারে, এমনকি চাষের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়ে থাকে।

ব্যাংকিং প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাংকে একাউন্ট খোলেননি বা বা কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক তারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খাতা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে করতে পারবেন। চাইলে অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টস ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিংকিং ও করতে পারবেন। তবে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে যে ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন সেগুলি আপনাকে অবশ্যই সাবমিট করতে হবে।

আধার প্রকল্প – এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি চাইলে তার আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার যুক্ত করতে পারবে। তাছাড়া ওই ক্যাম্পে যদি সুবিধা থেকে থাকে কোন কিছু সংশোধন করার, তাহলে ব্যক্তিরা চাইলে তাদের আধার কার্ডের কোন কারেকশনও করতে পারবেন।। তবে এটি ডিপেন্ড করবে ক্যাম্পের ওপর কেননা ক্যাম্পে এই সুবিধা থাকলে তবেই হবে।

বিকলাঙ্গ সার্টিফিকেট – যারা স্পেশাল নিডস ব্যাক্তি রয়েছেন অর্থাৎ বিকলাঙ্গ রয়েছে বা ডিজাবলিটি বলতে পারেন। তারা চাইলে ক্যাম্পের মাধ্যমে বিকলাঙ্গ সার্টিফিকেট বা disability certificate তৈরি করতে পারবেন।

কিষান ক্রেডিট কার্ড – এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সমস্ত ব্যক্তিরা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত তারা কিষান ক্রেডিট কার্ড তৈরির জন্য আবেদন করতে পারবে। এই কিষান ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে ব্যক্তিরা কৃষিকাদের জন্য প্রয়োজনীয় লোন নিতে পারবে, ফসল ক্ষয়ক্ষতি হলে এর সাহায্যে সরকারের তরফ থেকে ভর্তুকীও পেয়ে থাকতে পারে, আবার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কিছু টাকা অনুদান হিসেবেও পেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *