today raining report – কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ধেয়ে আসছে বৃষ্টি। জানুন বিস্তারিত।
আগামী কয়েক দিন ধরেই চলছে তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির গন্ধমাত্র পাওয়া যাচ্ছে না উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিপি। এর পরিস্থিতিতে মানুষ গরমের কবলে পড়ে নাজেহাল হয়ে উঠছে। সবাই চেয়ে রয়েছে বৃষ্টির দিকে। কিন্তু সেই বৃষ্টি কোথায়, সেই নিয়ে প্রশ্ন মানুষের মনের মধ্যে থেকেই রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো গিয়েছে যে গরমের হাত থেকে রেহাই এখনই নাই। আগামী ২১ দিন তাপপ্রবাহ চলবে এখনো। তবে দু একদিন পর বিশেষত শনিবার থেকে তাপমাত্রার রূপ বদল হবে, অর্থাৎ তাপমাত্রা দু চার ডিগ্রি কমবে। যা বিশেষত দিনের বেলা তাপমাত্রায় বেশি রদবদল হবে তবে রাত্রিবেলা তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি থেকে এক ডিগ্রী কমতে পারে।
তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলা যেমন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এই কয়েকটি জেলায় এখনো চলবে গরম লু বাতাসের প্রবাহ। এবং উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ আগের মতই বজায় থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি তাপপ্রবাহের কবল থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে, এমনটাই আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর পাওয়া যায়।
এরূপ তীব্র গরমের পরিস্থিতিতে হাইকোর্টে পোশাক বিধিতে রদবদল লক্ষ্য করা যায়। আপনারা সকলেই জানেন যে আইনজীবীরা বিশেষত উকিল এবং জর্জদের কালো পোশাক পরিধান করতে হয়, কিন্তু এই কালো পোশাক পরাতে ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ এই গরমের পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের মোটা ওই কালো পোশাক বা কোট পড়তে হবে না। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারে, বা চাইলে নাও করতে পারে, বিশেষ কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। খবর সূত্রে জানা যায় যে এই নিয়ম লাগু থাকবে আগামী জুন মাস পর্যন্ত। গত বৃহস্পতিবার থেকেই এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। আগামী বুধবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি শিবঙ্গমের নির্দেশিকাই জারি করা হয়।
আরো একটা তথ্য আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি নিউজ এইট্টিন বাংলার তরফ থেকে ওয়েদার আপডেট এ জানানো হয় যে, দক্ষিণবঙ্গের যে বাঁকুড়া জেলা রয়েছে সেই জেলা গরমের দাবদাহে এতটাই পুড়ছে, যে আগামীকালও বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজও বাঁকুড়া জেলার তাপমাত্রা রয়েছে ৪৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়ন স্থানগুলির তালিকার মধ্যে বাঁকুড়ার নাম উঠে এসেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ গরমের তালিকায় ১৫ টি জায়গার স্থানের মধ্যে বাঁকুড়ার নাম রয়েছে।
এই এই বিশাল গরমের জন্য মানুষ কেউ কেউ দিনে দুবার থেকে তিনবার করে স্নান করছে। মানুষ নানান ধরনের রসালো ফল দিন ভর খাচ্ছে, ors খাচ্ছে, আখের রস খাচ্ছে, ডাবের জল খাচ্ছে, কেউ ফ্রিজের ঠান্ডা জল খাচ্ছে শুধুমাত্র দেহে জলের ঘাটতি মেটানোর জন্য। কেননা মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছি যে দেহে যদি জলের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মানুষের মধ্যেই পন্থা।
তাছাড়া যদি লক্ষ্য করা যায় এই গরমের পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই দশটা বা এগারোটা পর্যন্ত মানুষ তার নিজস্ব কাজগুলিকে সম্পূর্ণ করছে অর্থাৎ তাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এরপরে যতই বেলা বাড়তে থাকি ততই মানুষ রাস্তা থেকে জনশূন্য হতে থাকে। দুপুর ১২ টার পর রাস্তায় মানুষকে খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকি বারোটার পর দোকান পর্যন্তও বেশিরভাগ মানুষ বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই এই গরমের পরিস্থিতিতে মানুষ করছে একটুকু বৃষ্টি।
এছাড়া প্রচন্ড গরমের দাবদাহের জন্য আগামী এক সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই গরমের পরিস্থিতির জন্য মানুষ অসহ্যকর বোধ করছে। সবাই ভাবছে যে বৃষ্টি কবে থেকে হবে। বৃষ্টি কি এখন আর হবে না? এই প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং আগামীকাল হালকা শিলাবৃষ্টি হয়েছে এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি জলপাইগুড়িতেও হয়েছে। আজও উত্তরবঙ্গের দুই এক জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে (today raining report)।
তাই উত্তরবঙ্গের কয়েকটা জেলাতে আবহাওয়া অনেকটাই নরম হয়েছে আগামী কয়েক দিন ধরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা বিশেষত আগামী শনিবার থেকে বেশি পরিমাণে অর্থাৎ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
কলিকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর পাওয়া যায় দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এও জানা যায় যে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলের দিক থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটা জেলা যেমন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, এই জেলাগুলিতে কিছু কিছু জায়গায় হালকা ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি (today raining report) হতে পারে। তবে আগামী শনিবার বিকেল থেকে অথবা রবিবার থেকে কলকাতা ( today weather report of kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে।
এছাড়া আবহাওয়া সূত্রে জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটা জেলাতে ভোরবেলা থেকে সকাল বেলা পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা দিতে পারে। এর ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত হালকার ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করবে ওই সমস্ত স্থান গুলিতে। কেননা কুয়াশা থাকার কারণে সূর্যের আলো ঐ কুয়াশা ভেদ করে আসতে অনেকটা সময় লাগবে বা আসলেও ততটা তার তীব্রতা থাকবে না তাই গরমের তীব্রতাটাও ওই সময় কিছুটা কম থাকবে।
এই গরমের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেহেতু বৈশাখ মাস এসেছে। তাই অনেকের মনে এই ভাবনা উদ্ভাসিত হচ্ছে যে বৈশাখ মাস এসেছে মানে কালবৈশাখী হতে পারে। কিন্তু কোন ঝড় হবে কিনা সেই বিষয়ে কোন স্পষ্ট মন্তব্য করে নিয়ে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তর জানান যে এখন তেমন কোনো ঝড়ের সম্ভাবনা নাই।