মানুষ এই উৎকৃষ্ট গরমে হাবুডুবু খেয়ে চেয়ে বসে আছে দু এক পশলা বৃষ্টির দিকে। যে কবে স্বস্থির জল হবে। তবে যাইহোক আগের থেকেই তাপমাত্রা অনেকটা কমেছে। তাই আগের কয়েকদিন যেভাবে মানুষ গরমেতে ভুগছিল তার থেকে একটুকু গরমের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে, তাপমাত্রা কমার জন্য। তবে তাপমাত্রা কম হলেও সময়ে সময়ে ভ্যাপসা গরম টা একটুকু অনুভব হচ্ছে।
অবশেষে এই বিশেষ গরমের মধ্যে আবহাওয়া দপ্তর শোনালো খুশির খবর। খুশির খবরটি কি, না পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী ২- ৩ দিন ধরে চলবে বৃষ্টির তাণ্ডব ও ঝেরো বাতাস। বঙ্গবাসীরা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। আগামী কয়েক দিন মানুষ একটুকু আরামে ঘুরতে, খেতে ও ঘুমাতে পারবে।
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আবহাওয়া দপ্তর কি জানিয়েছে, এবং কোন কোন জেলায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃষ্টি আজ থেকেই চলবে আগামী ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত।
এরই সঙ্গে জানানো হয়েছে যে বৃষ্টির সঙ্গে ঝেড়ো বাতাসও হইবে , অর্থাৎ কালবৈশাখীর হালকা ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলাগুলিতে ঝড়ের বা ঝেড়ো বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার । আবার কোন কোন জেলায় এর গতিবেগ একটুকু বেশিও থাকতে পারে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং দুই একটা জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি ঝেড়ো বাতাস বইতে পারে।
তাছাড়া আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে কিছু কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। শিলাবৃষ্টি কয়েকটি জেলাতে যেমন বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলাতে হতে পারে।
তাই বৃষ্টির সকলেরই উৎসাহিত হওয়ার খুব একটা কারণ নাও থাকতে পারে। কিছুদিন পূর্বে যে মোকা ঝড় হয়েছিল তা কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জেলা এবং বাংলাদেশ ও মায়ানমার খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গিয়েছে তার গতিবেগ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের থেকে অনেকটাই কম। সিমঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের গতিবেগ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছিল।